সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ জনতার চাপের মুখে বিআইডব্লিউটিএ-এর টোল আদায় বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, বিআইডব্লিউটিএ-এর নামে নদীতে টোল আদায় অবৈধ। তবে টোল আদায়ের বৈধ কাগজপত্র আছে বলে দাবি করেন ইজারাদার রতন মিয়া।
জানা যায়, চলতি বছরের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সুনামগঞ্জ নদী বন্দর নিয়ন্ত্রণাধীন বড়ছড়া ডাম্পের বাজার থেকে মাইয়াজুরী মৌজা হয়ে সুলেমানপুর পর্যন্ত টোল আদায়ের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে ইজারাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন মেসার্স সোহাগ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রতন মিয়া। ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ জনতা টোল আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে ইজারাদার রতন মিয়া বলেন, শেখ হাসিনা সরকার পতন হওয়ার পর গত ৬ আগস্ট থেকে আমার ইজারাপ্রাপ্ত বৈধ ঘাটে টোল আদায় করতে পারছে না আমার লোকজন। স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাধারণ জনতা আমার ঘাট অবৈধ দাবি করে টুল আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে আমার কাছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ইজারাপ্রাপ্ত হওয়ার বৈধ কাগজপত্র আছে। আমি বৈধভাবে সরকারি নিয়মে টোল আদায় করে আসছিলাম। এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি।
ইউএনও সালমা পারভিন বলেন, বিআইডব্লিউটি-এর বৈধ ইজারাপ্রাপ্ত রতন মিয়া। তারা সরকারি নিয়মে টোল আদায় করতে পারবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের টোল আদায় না করতে বলা হয়েছে।