গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকারের জনরোষের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে এসে ছাত্রদল নেতার বহিষ্কার দাবিও করেছেন। এ ঘটনায় তিনি সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকালে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদল গাইবান্ধা জেলা শাখার দফতর সম্পাদক খন্দকার রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এ সংক্রান্ত একটি পত্র জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ছাত্রদলের গাইবান্ধা জেলা সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জিম ও সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাইনুল হাসান সাদিক মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সাদুল্লাপুর উপজেলাধীন ধাপেরহাট থেকে গাইবান্ধা আসছিলেন। এ সময় তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ঘেগার বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে সংক্ষুব্ধ কিছু মানুষ তার পথরোধ করে সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকারের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়ে তার বহিষ্কার দাবি করেন। যা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গাইবান্ধা জেলা শাখা দফতর সম্পাদক রাতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারে। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও যাচাইপূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষ্যে ছাত্রদলের গাইবান্ধা জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান সরকার শাহীনকে আহ্বায়ক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আমির হামজা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ শাকিলকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জীম বলেন, উক্ত তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জেলা ছাত্রদল বরাবর লিখিত আকারে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক জানান, বিষয়টি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না, এটি মূলত একটি এলাকাভিত্তিক সংঘর্ষ। যদিও বর্তমানে পারভেজ সরকারের বিরুদ্ধে নতুন কোনও অভিযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে ছাত্রদল ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি কোনও অন্যায়-অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নই। মূলত ঘেঘার বাজার ওয়াকফ এস্টেটের মাজার নিয়ে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা ময়নুল হকের সঙ্গে শহিদুল মাস্টারের দ্বন্দ্ব চলছে। শহিদুল মাস্টার আমার চাচা হওয়ায় ময়নুলসহ তার সঙ্গে কতিপয় ফ্যাসিস্ট যুবলীগের নেতারা নানা ষড়যন্ত্র করছে।