গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কনের বাড়িতে গেটের টাকা কম ও ভাত নরম হওয়ার জেরে ভাঙচুর ও হাতাহাতির ঘটনায় বরপক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিয়েবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় বিয়েবাড়ির নামীয় ৫৯ জন ও অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ।
তিনি জানান, বিয়েবাড়িতে পুলিশের ওপর আক্রমণ, গাড়ি ভাঙচুর ও কাজে বাধা দেওয়াসহ আরও বেশ কিছু অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে উপপরিদর্শক রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বিয়েবাড়ির ৫৯ জন নামীয় ও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটী হাজিপাড়া গ্রামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গিয়ে ‘গেটের টাকা’ ও ‘নরম ভাত’ ঘিরে উত্তেজনা, ধাক্কাধাক্কি ও ভাঙচুরের মধ্যে বরপক্ষের লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পর দিন শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কনের বাড়িতে অবরুদ্ধ হওয়া বরপক্ষের লোকজনকে উদ্ধার করতে যান ওসিসহ সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় কনেপক্ষের লোকজন পুলিশকে বাধা দিয়ে হামলা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওসিসহ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার পশ্চিম ছাপড়হাটী হাজিপাড়া গ্রামের প্রবাসী মো. দুখু মিয়ার মেয়ের সঙ্গে পাশের রামজীবন ইউনিয়নের মো. আয়নাল হকের ছেলে মো. সবুজ সরকারের (২৮) বিয়ে হয়। শুরু থেকেই গেটের টাকা নিয়ে কিছুটা টানাপড়েন চলছিল। এরপর বিয়ের দিন খাবার পরিবেশনের সময় ভাত নরম হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে বরপক্ষ। একে একে তারা ভাতের প্লেট ছুড়ে ফেলেন। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।