নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৮ সালে নির্বাচনি প্রচারণায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভগ্নীপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের গাড়ি বহরে হামলা ও ডোমারের যুবদল নেতা মাসুদ বিন আমিনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছিল।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে কিলঘুষি, স্যান্ডেল, থুথু ও বালু নিক্ষেপ করে। পরে আদালতে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হলে শুনানি না হওয়ায় দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক দেলোয়ার হোসেন।
কারাগারে নেওয়ার পথে উৎসুক জনতা আফতাব উদ্দিন সরকারকে ভুয়া, ভুয়া ও ভোট চোর বলে আখ্যায়িত করে। মুহূর্তেই আদালত প্রাঙ্গণ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় হয়ে ওঠে।
এর আগে চলতি বছরের ৫ মার্চ রাতে তাকে রংপুর নগরের সেনপাড়া এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। সেখানে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রিনো জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় যাওয়ার সময় সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার, তার দলের ৭০ থেকে ৮০ জন অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, গুরুতর আহত হন রফিকুল ইসলামসহ তার দলের নেতাকর্মী। রবিবার তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক দেলোয়ার হোসেন তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, মাসুদ বিন আমিনের আইনজীবী মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জানান, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে ডোমার-ডিমলার সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারসহ তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ডোমার উপজেলা যুবদল নেতা মাসুদ বিন আমিনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। পরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে।