X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

উত্তরাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ

নীলফামারী প্রতিনিধি
০৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৫০আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৫০

২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজসহ নতুন চারটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেয় তৎকালীন সরকার। তবে নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ ৩০ আগস্ট পূর্ণাঙ্গভাবে অনুমোদন পায়। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর খুলনা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম শাহকে কলেজটিতে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

এরপর ১৫ অক্টোবর ১ম ব্যাচের ভর্তি শুরু হয়। ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ৪৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী ডায়াবেটিকস হাসপাতালের নতুন ভবনে কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এখন উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আধুনিক মানের মেডিক্যাল কলেজটি।

ডায়াবেটিকস হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজটি জেলা শহরের নটখানা নামকস্থানে ম্যাটসের একটি ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। এটি অস্থায়ী ক্যাম্পাস হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ব্যবহারিক ল্যাব, সেমিনার কক্ষ, শৌচাগার, অধ্যক্ষের বাসভবন, ছাত্র-ছাত্রী নিবাস, স্টাফ ডরমমিটরিসহ সকল সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।

কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অর্পিতা চৌধুরী বলেন, ‘৫টি ব্যাচের আমরা সবাই ক্যাম্পাসের ভেতর হোস্টেলে অবস্থান করছি। আমাদের পর্যাপ্ত শিক্ষক আছে, ল্যাব আছে, অধ্যক্ষের বাসভবন আছে, ডরমিটরি আছে। কোনটারও কমতি নেই।’

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জিম্মা হোসেন বলেন, ‘ডায়াবেটিকস হাসপাতালের ভবন থেকে এখন মেডিকেল কলেজটি স্থানান্তরিত করা হয়েছে জেলা শহরের নটখানা ম্যাটসের নবনির্মিত ক্যাম্পাসে। এটিকে আমাদের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর পাশেই আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ৩৫ একর নিজস্ব জায়গা আছে। সেখানে ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন আছে। সেটা না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই কার্যক্রম চালাতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘৭৮টি শিক্ষকের পদে কর্মরত আছেন ৫৬ জন। আমাদের শিক্ষকের স্বল্পতা থাকলেও শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা নেই। এখন আমাদের একটি পরিবহনের বাসের দরকার। আমাদের মেডিক্যাল কলেজটি দেশের অন্য যেকোনও প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুন্দর ও মনোরম। এখানে শিক্ষার্থীদের শেখার ব্যাপারে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’

প্রসঙ্গত, কলেজে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীসংখ্যা ৪৮ জন, দ্বিতীয় ব্যাচে ৪৮ জন, তৃতীয় ব্যাচে ৪১ জন, চতুর্থ ব্যাচে ৪১ জন, পঞ্চম ব্যাচে ৩৫ জন ও ষষ্ঠ ব্যাচে ৭৫ জনের মধ্যে ছাত্র ২৫ এবং ছাত্রী ৫০ জন। প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখন ইন্টার্নশিপ করছেন। কিছুদিন পর তারা ডাক্তার হয়ে বের হবেন।

/কেএইচটি/
সম্পর্কিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল থিংকিং রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান তামিজী, সেক্রেটারি হামিদা
সুনামগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন
আট দফা দাবিতে একাডেমিক ভবনে তালা দিলেন রাঙামাটি এটিআই শিক্ষার্থীরা
সর্বশেষ খবর
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
৫০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দিতে চায় আইএসপিএবি  
৫০০ টাকায় ২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দিতে চায় আইএসপিএবি  
সর্বাধিক পঠিত
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
মগবাজার রেললাইনে বাস আটকে যাওয়া সম্পর্কে যা জানা গেলো
মগবাজার রেললাইনে বাস আটকে যাওয়া সম্পর্কে যা জানা গেলো
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখলেন ‘ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না’
মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখলেন ‘ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না’