ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিয়ের দিন সকালে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ খবর নিশ্চিত করেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সকালে পৌর শহরের জগথা মহল্লার একটি আম বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, জগথা মহল্লার মৃত মোস্তফা আলমের ছেলে আরিফ ইসলামের সঙ্গে সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যার পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে বর সেজে গিয়ে বিয়ে করে নববধূকে আনতে যাওয়ার কথা ছিল আরিফের। কিন্তু তার আগেই ভোরে বাড়ির পাশে জনৈক আজিজের আম বাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
সূত্র জানায়, আরিফ শহরের চৌরাস্তায় ওষুধের দোকান করতেন। হাসিখুশি আরিফ আশপাশের সবার প্রিয় ছিলেন। তবে ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, বিয়েতে তার মত ছিল না। শারীরিক সমস্যা আছে দাবি করে তিনি বিয়ে করতে চাননি। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লাগে। এর আগেও বিয়ে ঠিক করা হলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আরিফ। এবার এক প্রকার জোর করেই তার বিয়ে ঠিক করা হয়। এ কারণেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে তার প্রতিবেশী এবং বন্ধু-বান্ধবদের ধারণা।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন কথা বলেন আরিফের বোন রনি আক্তার। জোর করে বিয়ে ঠিক করা হয়নি দাবি করে তিনি জানান, তার মতামত নিয়েই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। রাতে বাড়িতেই ছিল আরিফ। খাওয়া-দাওয়া সেরে নিজ ঘরেই ঘুমান। ভোর রাতে ভাইকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে এক পর্যায়ে পাশের আম বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। কী কারণে তার ভাই এমনটা করলেন তিনিও ভাবতে পারছেন না।
পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।