শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বন্ধ চিনিকলগুলো যেন একটার পর একটা চালু করা হয়। তবে কবে চালু হবে, তা নির্দিষ্ট করে এখন বলতে চাচ্ছি না। ইতিমধ্যে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে আখচাষিদের প্রতিনিধিরাও আছেন, যারা আখ চাষ করছেন, তারাও আছেন। এজন্য আমরা এর আগে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম, এখন আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে পঞ্চগড় চিনিকল পরিদর্শন শেষে আখচাষি ও চিনিকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ‘কারখানা বন্ধের কারণে অসংখ্য মানুষ পেশা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের আবার পেশায় ফিরিয়ে আনা, আখের জন্য উন্নতমানের বীজ দেওয়া, যারা দীর্ঘদিন চাকরি করেও পেনশন পাচ্ছেন না, তাদের কাছে সেটা পৌঁছানোর কাজগুলো করার চেষ্টা করছি আমরা।’
আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনে অসংখ্য শহীদ, গুম হয়ে যাওয়া পরিবার এবং নির্যাতিত পরিবারের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বর্তমান সরকার। এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ, ছাত্ররা যে জীবন দিলেন, তারা যে অত্যাচারের শিকার হলেন, তাদের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে আগে। এটি নিয়ে কাজ করছে সরকার।’
সভায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘শিল্প উপদেষ্টার কাছে এখানের মানুষ আশা করে, উত্তরবঙ্গে বন্ধ থাকা চিনিকলগুলো চালু করা হোক। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে যদি একটি চিনিকল চালু হয়, সেটি যেন পঞ্চগড়ের হয়।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ ও জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন এবং দুজন আখচাষি।