গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৫ নম্বর ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ইউনিয়ন পরিষদ আইন, ২০০৯-এর ৫১ (১) ধারা লঙ্ঘন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাকে কেন চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তা জানতে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জবাব দিতে হবে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে। বুধবার (৩ জুলাই) বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কাওছার হাবীব।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি-১ শাখা গত ১ জুলাই এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করায় নিয়ম অনুযায়ী ওই ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন প্যানেল চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৫১ (১) ধারা লঙ্ঘন করে ইউনিয়ন পরিষদের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে সোলেনামা (আপস-মীমাংসা) করায় বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সে হিসেবে রায় প্রদান করেন। এতে পরিষদের স্বার্থহানি হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সুপারিশ মোতাবেক স্থানীয় সরকার বিভাগের ১ জুলাই ২০২৪ তারিখের ৫৮১ নম্বর প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ ছাড়া একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারায় অপরাধ সংঘটিত করায় কেন আপনাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র (নোটিশ) প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের নির্দেশনার কথাও উল্লেখ করা হয় ওই প্রজ্ঞাপনে।
অভিযোগের বিষয়ে ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বরখাস্তের কারণ নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও বক্তব্য দিতে চাই না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করবো।’