দিনাজপুর শহরের মির্জাপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রকাশ্যে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম জয়া বর্মন (৩০)। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানার বোনডাঙ্গা গ্রামের স্বপল রায়ের স্ত্রী ও লালমনিরহাটের বান্দরকুড়ার প্রভাস রায়ের মেয়ে। মির্জাপুর বাস টার্মিনাল এলাকার হোটেল সৌদিয়াতে কর্মরত ছিলেন জয়া। স্বামী-স্ত্রী শহরের ফকিরপাড়ার ভাড়া বাসা থাকতেন। তাদের ১৩ বছরের এক মেয়েসন্তান আছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সারাদিন হোটেলে কাজ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন জয়া। হোটেল থেকে কয়েক গজ দূরে বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছালে তাকে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এক যুবক। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শহরের বাসিন্দা আব্দুর রউফ বলেন, ‘ওই নারী হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক যুবক এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গলা এবং মাথায় কোপ লেগেছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।’
নিহত গৃহবধূর স্বামী স্বপল রায় বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমার স্ত্রী মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলতো। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার জিজ্ঞাসা করেছি। তখন বলেছে, তার বাবার পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলছে। হয়তো যার সঙ্গে কথা বলতো, তার সঙ্গে কোনও বিরোধ ছিল। বিরোধের কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি নৈশপ্রহরী। সন্ধ্যায় অফিসে ছিলাম। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি স্ত্রীর লাশ পড়ে আছে।’
এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. ফরিদ হোসেন বলেন, ‘কারা এবং কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’