কেন্দ্র দখলের অভিযোগে রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে নীলফামারী-২ (সদর) ও নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা দুইজনই জামায়াতে ইসলামীর নেতা। নীলফামারী-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা সংশ্লিষ্টদের চাতুরী।
নীলফামারী-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মন্টু শহরের নিজ বাসভবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। একই সময়ে নীলফামারী-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম মুঠোফোনে ভোট বর্জনের কথা জানান সাংবাদিকদের। মনিরুজ্জামান মন্টু জেলা জামায়াতের নেতা এবং আজিজুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সুরা সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অর্ধেকের বেশি ভোটকেন্দ্র দখল করে বাক্স ভর্তি করেছেন। তারা ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন। ধানের শীষের ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধার সৃষ্টি করেছেন। এ অবস্থায় আমি ভোট বর্জন করলাম। এটি আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’
ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, শহর জামায়াতের আমীর আল ফারুক, বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ পারভেজ প্রিন্স প্রমুখ।
নীলফামারী-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম বেলা ১টার দিকে সাংবাদিকদের ভোট বর্জনের কথা জানিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে নীলফামারী-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করেছেন। সেটি কর্তব্যরত সাংবাদিকসহ সকল মানুষ দেখেছেন।’
তিনিও আরও বলেছেন, ‘নৌকার গণজোয়ার দেখে ভয় পেয়ে নীলফামারী-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মন্টু ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এটি তাদের নৈতিক পরাজয়। অপরদিকে এটি চাতুরীও হতে পারে। ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্র ফাঁকা করে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ খুঁজছেন তারা।’