বগুড়ার ধুনটে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় জামিন নিতে যাওয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও তার দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লোকমান হাকিম এ আদেশ দেন। ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড় ও হুরাসাগর নদী খনন প্রকল্পের শাকদহ এলাকায় ১৮ লাখ ঘনফুট মাটি ও বালু উত্তোলন করা হয়। গত বছরের ১৫ আগস্ট বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় থেকে এসব নিলামে বিক্রি করা হয়। চৌকিবাড়ি ইউয়িনের শাকদহ এলাকার ১৮ লাখ ঘনফুট মাটি ও বালু নিলামে কেনেন বগুড়া সদরের জাহাঙ্গীর আলম। এরপর তার কাছে থেকে কেনেন ধুনট উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম খোকন।
একই সঙ্গে তিনি এসব মাটি ও বালু রাখার জন্য স্থানীয় জমির মালিকদের প্রাপ্ত মাটি ও বালুও কিনে নেন। প্রায় অর্ধেক বিক্রি হওয়ার পর গত ১৬ মার্চ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন তার সহযোগী আরিফ ও রেজাউল ইসলামকে নিয়ে ওই পয়েন্টে যান। তারা ম্যানেজার কোয়েল সরকারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বিএনপি নেতা
শাহীন ও তার দুই সহযোগী বালু পয়েন্টের ম্যানেজার কোয়েল সরকারকে মারধর করে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় মাটি ও বালুর ক্রেতা শরিফুল ইসলাম খোকন গত ২২ মার্চ ধুনট থানায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে এ চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় তিন আসামি মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে যান। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।