বগুড়ার শাজাহানপুরে পুলিশ পরিচয়ে দরজা ভেঙে খামারে ঢুকে মালিকের বাবাকে হাত-পা বেঁধে ডাকাতি করা ২৫০টি হাঁস উদ্ধার ও আন্তজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার ও হাঁসগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে খামারি ছানোয়ার হোসেন শনিবার (২৬ এপ্রিল) শাজাহানপুর থানায় ডাকাতি মামলা করেছেন। বিকালে ওসি ওয়াদুদ আলম এ তথ্য দিয়েছেন।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ী মধ্যপাড়ার আফজাল হোসেনের ছেলে ছানোয়ার হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ফটকি ব্রিজের পশ্চিম পাশে খামার দিয়ে ৩০০ হাঁস লালন-পালন করে আসছেন তিনি। গত ২২ এপ্রিল রাতে তার বাবা খামারের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৭-৮ জন দেশীয় অস্ত্রধারী নিজেদের শাজাহানপুর থানা পুলিশ পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে। সন্দেহ হওয়ায় বাবা আফজাল হোসেন দরজা না খুললে ডাকাতরা দরজা ভেঙে খামারে প্রবেশ করে। এরপর তারা আফজাল হোসেনকে চাকুর ভয় দেখিয়ে মারপিট করে। খামারে থাকা লুঙ্গি চাকু দিয়ে কেটে বাবার হাত-পা বেঁধে ফেলে।
ডাকাতদল খামারে থাকা দুই লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৩০০টি হাঁস এবং পাঁচ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ৩০০ ডিম ডাকাতি করে। তারা রাস্তার পাশে থাকা পিকআপে হাঁস ও ডিমগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়।
আফজাল হোসেন হাত-পায়ের বাঁধন খুলে খামার থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানায় অবহিত করলে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের দল মাঠে নামে। তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে ডাকাতদল ও হাঁসের অবস্থান নিশ্চিত করে। শুক্রবার রাতে প্রথমে ডাকাত দলের সর্দার আলী আজমকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিতে অপর ডাকাত মতিউর রহমান, রবিউল ইসলাম ও ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, হাঁস ও ডিমগুলো বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের হলদিবাড়ি আটাপাড়া গ্রামে ওমর ফারুকের কাছে বিক্রি করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে রাতেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি করা ৩০০ হাঁসের মধ্যে ২৫০টি উদ্ধার করা হয়। তবে ডিমগুলো পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া ডাকাতির মাল কেনার অপরাধে ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে।
ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলু জানান, গ্রেফতার চার ডাকাতসহ পাঁচ জনকে রবিবার (২৭ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হবে।