নিখোঁজের নয় দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শহলাপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র কাফি খন্দকারের (৮) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ২টার দিকে ওই গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, কাফিকে হত্যা করে লাশ পুকুরের পাড়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত কাফি খন্দকার ক্ষেতলাল উপজেলার শহলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল বিকালে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুর সঙ্গে খেলা করছিল কাফি। সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় জিডি করেন। শনিবার বেলা ২টার দিকে শহলাপাড়া গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে অর্ধগলিত মরদেহ দেখে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে কাফির মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘শিশুটির মরদেহে পচন ধরেছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ছাড়া ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।’