রাজশাহীতে গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪০) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি নন। শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার এজাহারটি বাংলা ট্রিবিউনের হতে এসেছে। সেখানে রবির নাম নেই।
এর আগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছিলেন, রবির বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রাবি শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তার নাম রয়েছে। হামলার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত জড়িতদের শনাক্ত বা আটক করা যায়নি।
তবে নগরের মতিহার থানায় দায়েরকৃত ওই মামলার এজাহারে উল্লেখিত ২৮ আসামির মধ্যে রবি নামের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এজাহার অনুযায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে রবির আপন ভাই শহিদুল ইসলাম শহিদ ওই হত্যাকাণ্ডের ১৩ নম্বর আসামি। শহিদুল ইসলাম নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এর আগে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে নগরের পঞ্চবটী এলাকার খড়বোনার গাড়োয়ানপাড়ায় রবিউল ইসলাম ওরফে রবিকে গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আহত রবির বাড়ি নগরের বিনোদপুর-মীর্জাপুর এলাকায়। তার বাবার নাম আজিজুল ইসলাম। রবি যুবলীগের কর্মী। এ হামলার ঘটনায় রবিকে শিবির নেতা নোমানী হত্যার আসামি বলে প্রচার করা হয়।