নওগাঁ ও পাবনায় বাসে ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, দেশীয় অস্ত্রসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়া থেকে এই ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচ জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনার সাঁথিয়ায় ডাকাতিতেও জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জয়পুরহাটের শামীম ইসলাম সদুল (২৭), রঞ্জিত চন্দ্র বর্মণ (৩০), আব্দুল লতিফ ওরফে নাঈম (২৭), গাইবান্ধার শাহারুল ইসলাম (৩৭), শহিদুল ইসলাম (৪০) ও বগুড়ার শাহাদাত হোসেন (৪০)।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ছয়টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে দুটি, শামীমের বিরুদ্ধে দুটি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে নওগাঁর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, এক জোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাঁসুয়া এবং একটি প্লাস। নওগাঁয় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে পাঁচ জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। পাবনার ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন আমরা ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছি। নওগাঁর ডাকাতির সময় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি তারা পাবনার ডাকাতিতেও ব্যবহার করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আন্তজেলা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত তারা। তাদের গ্রেফতারের ফলে নওগাঁ ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ডাকাতির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমরা আশা করছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’