একজন খেলোয়াড়, আরেকজন ভক্ত-দর্শক। প্রায় ৪ বছর আগে সাফজয়ী নারী ফুটবলার আঁখি খাতুনের খেলা দেখতে সুদূর চীন থেকে দেশে ফেরেন চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবের কোচ শরিফুল ইসলাম টিংকু। খেলা দেখতে এসে মাঠে পরিচয় হয় আঁখির সঙ্গে। ভালো লাগা থেকে শুরু হয় দুজনের মন দেওয়া নেওয়া। এরপর সেটি গড়ায় বিয়ের পিঁড়িতে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে আঁখির বাবা আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, দুই পরিবারের সম্মতিতে গত শুক্রবার আঁখি-টিংকুর বিয়ের কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দ্বাবাড়িয়া এলাকায় আঁখি খাতুনের বাবার বাড়িতে বিয়ের শুভ কাজটি সম্পন্ন হয়। এ সময় বর ও কনেকে একনজর দেখতে আঁখি খাতুনের বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, আঁখির স্বামী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম টিংকু বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সাবেক ছাত্র। তার বাড়ি রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। তিনি বর্তমানে চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবে কোচ হিসেবে কর্মরত আছেন। আর আঁখি খেলছেন চায়নার স্ককর ওয়ার্ড ক্লাবে।
২০১৮ সালে টেলিভিশনের পর্দায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের খেলা দেখে ভালো লেগে যায় চীনের লন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলামের। ২০২১ সালে মাঠে বসে আঁখির খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে আসেন তিনি। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের যোগাযোগ চলতে থাকে। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে উভয়ের মধ্যে। দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবারকে জানান। পরিবারের সম্মতিতে ৪ বছর পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তারা।
এর আগে, ২০২২ সালে সাফ জেতার পর অনেকটাই আড়ালে চলে যান আঁখি খাতুন। ২০২৩ সালে অনেক আলোচনা ও বিতর্কের মাঝে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বাফুফে ক্যাম্প ছাড়েন তিনি। এরপর আর বাফুফেমুখো হননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। এদিকে, পছন্দের মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুশি হওয়ার পাশাপাশি সবার কাছে দোয়া দেয়েছেন এই নবদম্পতি।
আঁখি খাতুন বলেন, ‘আমার খেলার অনেক বড় ভক্ত ছিল টিংকু। এতই ভক্ত যে চার বছর আগে সুদূর চীন থেকে আমার খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিল। সেটাই আমাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগের পর আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আমাদের। এখন তো আমরা জীবনের বন্ধনে জড়িয়ে গেলাম।’
আঁখির বাবা আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুইজনের পছন্দের পর বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে আঁখি ও তার স্বামী শাহজাদপুরে আমার বাড়িতে অবস্থান করছে। আগামী ১১ থেকে ১২ তারিখে ঢাকায় যাবে। সেখান থেকে চীনে যাওয়ার কথা আছে। আমি তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।’