পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে গ্রেফতারের পর পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে সুজানগর পৌর সদরের মথুরাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ নেতা ওহাবের বাড়ি মথুরাপুরে।
আব্দুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র। পুলিশের দাবি, তিনি গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে আব্দুল ওহাব বাড়ির পাশের মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে বের হন। মথুরাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে গেলে সুজানগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে ওহাবকে ছেড়ে দিতে বলেন। পুলিশ রাজি না হলে গাড়ি থেকে ওহাবকে জোরপূর্বক বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে আশপাশের শতাধিক লোকজন জড়ো হয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় ধস্তাধস্তিতে পুলিশের আট সদস্য আহত হন।
পাবনার পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খাঁন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মী ও গ্রামের লোকজন তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। তাকে পুনরায় ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে। একইসঙ্গে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।