সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে এক স্কুলছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা ফকিরের (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে বিএনপির সদস্যপদসহ দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত জেলা বিএনপির এক প্যাডে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ বলেন, ‘তার (জুয়েল রানা ফকির) বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এরই মধ্যে চৌহালী উপজেলা বিএনপি তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতাও পায়। পরে তারা জেলা বিএনপি বরাবর তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের এই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাকে তার বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ তার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এদিকে বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, দলীয় গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় ও দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করায় চৌহালী উপজেলা বিএনপির সুপারিশ অনুযায়ী আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে থেকে বহিষ্কার করা হলো। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা ফকিরের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার বিষয়ে জবাব দিতে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ (শোকজ) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা বিএনপি।
এরপর গতকাল সোমবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রের বাবা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় অভিযুক্ত জুয়েল রানাকে একমাত্র আসামি করে এক মামলা দায়ের করেন। জুয়েল রানা চৌহালী উপজেলার সম্ভুদিয়া ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ গ্রামের আব্দুল খালেক ঝুনু ফকিরের ছেলে।