রাজশাহীতে এক যুবলীগ কর্মীকে রিকশায় তুলে নিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কর্মীর নাম মো. মীম (২৫)। শনিবার রাত ১০টা ১৯ মিনিটে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দুই নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ছয় মিনিট পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মো. মীম রাজশাহী মহানগরের রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আবদুল মোমিন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ কর্মী জহিরুল হক রুবেলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন মীম। তিনি মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার এলাকায় ফিরলে হামলার শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাতে নগরের সাগরপাড়া এলাকায় একদল যুবক যুবলীগ কর্মী মীমকে ধাওয়া দেন। সাগরপাড়া এলাকায় তাকে ধরে মারধর করা শুরু করেন তারা। এ সময় স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে ওই যুবকরা একটি অটোরিকশায় তুলে মীমকে নিয়ে যান। পরেই পঞ্চবটি এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে কে বা কারা মীমকে হাসপাতালে নিয়ে যান এ বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। সাগরপাড়া এলাকার একটি গলির মুখে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ৮ থেকে ১০ জন যুবক মীমকে ধাওয়া দিচ্ছেন। তবে যুবকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মীম যুবলীগ করতেন। তার লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে থানায় মামলা হবে।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘নিহত যুবকের মা পুলিশকে জানান এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মীমের বন্ধুরাই জড়িত। তবে কে বা কারা হত্যায় জড়িত তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’