জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের উচনা সোনাতলা সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারেনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে হাটখোলা ক্যাম্পের আওতাধীন উচনা সোনাতলা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন রাতে সোনাতলা ২৭৯ ও ২৮০ নম্বর মেইন ও সাব-পিলার এলাকায় বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে এলে বাধা দেয় বিজিবি। পরে বিজিবির বাধায় বেড়া না দিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন ২০ বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ২৭৯-এর সাব পিলার ৯ থেকে ৪৭ এবং মেইন পিলার ২৮০-এর সাব পিলার ১ থেকে ১৫ পর্যন্ত বাঁশ দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া আছে। পিলার থেকে ভারতের অভ্যন্তরে ৫০ থেকে ১০০ গজ দূরত্বে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া ছিল। শনিবার রাত ৮টার দিকে মেইন পিলার ২৮০-এর সাব পিলারের ১২ থেকে ১৩ এলাকায় বাঁশের খুঁটি উঠিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছিল বিএসএফ। খবর পেয়ে হাটখোলা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার সাইদুল বারীর নেতৃত্বে বিজিবির সদস্যরা বিএসএফকে বাধা দিলে তারা কাজ বন্ধ রাখেন। পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও পরপর দুদিন বিএসএফের এমন ঘটনায় সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যা কারও জন্য স্বস্তির নয়।
অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে এবং শনিবার রাতে বিএসএফ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের কাজ বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে আমি বিএসএফের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। সীমান্ত এলাকা শান্ত আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে ধরঞ্জী ইউনিয়নের উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্ত এলাকায় বিজিবির হাটখোলা ক্যাম্পের আওতাধীন ঘোনাপাড়া সীমান্তের ২৮১ নম্বর পিলারের পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিতে এসে বিজিবির বাধার মুখে পড়ে ফিরে যায় বিএসএফ। শনিবার রাতে আবারও কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধার মুখে পড়ে ফিরে যায়।
বিজিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাক্ষরিত কাগজের মাধ্যমে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়। সেইসঙ্গে সীমানা পিলার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। এক্ষেত্রে বারবার সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া দিতে আসে বিএসএফ। তারা নির্ধারিত সীমানার বাইরে এসে কাঁটাতারের বেড়া দিতে চাচ্ছে। কারণ পরে দাবি করতে পারে বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের জমি এবং তা ফেরত দিতে হবে।