পাবনার সুজানগরের আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাতে জেলা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেফতার নিলয় পারভেজ ইমন (২৬) উপজেলার আহম্মদপুর ইউপির কম্পিউটার অপারেটর। তিনি ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, নিলয় টাকার বিনিময়ে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন সনদ তৈরি করে দিতেন।
র্যাব-১২-এর পাবনা ক্যাম্পের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত মার্চে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভুয়া জন্মসনদ তৈরি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। ওই ঘটনায় ২১ মার্চ রাতে নিলয় পারভেজকে আসামি করে আমিনপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। র্যাব ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামিকে গ্রেফতার করার উদ্যোগ নেয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরে নিলয়ের অবস্থান জানা যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১২-এর পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার এহতেশামুল হক খান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাস্টিন ট্রুডোর ভুয়া জন্মসনদ তৈরির কথা স্বীকার করেছেন নিলয়। তিনি টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন শিক্ষাসনদ, এমনকি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মতো স্পর্শকাতর নথি তৈরি করে দিতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আমিনপুর থানায় হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’
প্রসঙ্গত, গত মার্চে সুজানগরের আহম্মদপুর ইউপি থেকে জাস্টিন ট্রুডোর একটি ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করা হয়। ২১ মার্চ সকাল পর্যন্ত সার্ভারে জন্মসনদটি দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ওই দিন দুপুরে সার্ভার থেকে জন্মসনদটি মুছে দেওয়া হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া জন্মসনদের ছবিতে দেখা যায়, নিবন্ধিত ব্যক্তির নাম জাস্টিন ট্রুডো, জন্মস্থান পাবনা, জন্ম ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। মায়ের নাম মার্গারেট ট্রুডো, মায়ের জাতীয়তা বাংলাদেশি। বাবার নাম পিয়েরে ট্রুডো, বাবার জাতীয়তাও বাংলাদেশি।
ওই ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা প্রশাসন। ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।