সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক বিশেষ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার মরদেহ রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীরর নয়াপল্টনসহ বিভিন্ন স্থানে পাঁচ দফা জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে রবিবার বেলা ১১টায় ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান নাদিম মোস্তফা (৬০)। এদিন বিকালে তার মরদেহ নেওয়া হয় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে চিরবিদায় জানান। এরপর সড়কপথে মরদেহ নেওয়া হয় নাদিম মোস্তফার এলাকা রাজশাহীর পুঠিয়া-দুর্গাপুরে। সকাল ১০টায় দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, বেলা ১১টায় পুঠিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেলা পৌনে ১২টায় বানেশ্বর কলেজ মাঠে জানাজা হয়। এরপর রাজশাহী মহানগর ঈদগাঁহ মাঠে বাদ জোহর শেষ জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক আমিরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, ‘নাদিম মোস্তফা কী পরিমাণ জনপ্রিয় ছিলেন, প্রতিটি জানাজায় জনতার ঢল দেখেই বোঝা গেছে।’
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন জানান, নাদিম মোস্তফার মরদেহ দেখে তার নির্বাচনি এলাকার অনেককে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।
জানাজায় অংশ নেন বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, শাহীন শওকত, এরশাদ আলী ঈশা, মামুনুর রশিদ, আবু সাঈদ চান, শফিকুল ইসলাম মিলন, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ছাত্রদল সাবেক নেতা নাদিম মোস্তফা কেন্দ্রীয় বিএনপির বিশেষ সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন।