বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আবারও পাতানো খেলায় মেতেছে এই সরকার। দেশের মানুষ এবার তাদের না বলে দিয়েছে। দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব জনগণের। দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না, সেই প্রশ্ন এখন সবার সামনে এসেছে। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই আবারও রাতের আঁধারে ভোট করে ক্ষমতায় যেতে চায় তারা।’
তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, সবকিছুকেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সরকার। তারা বিচার বিভাগেও হস্তক্ষেপ করছে। দেশের বিচারব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে।’
রাজশাহী বিভাগে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি উপলক্ষে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চের সামনের সড়কে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বগুড়া থেকে নওগাঁ হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি করেছে বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে রোডমার্চে নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে রবিবার সকাল ১০টায় বগুড়া থেকে রোডমার্চ শুরু হয়। আদমদীঘি, সান্তাহার, নওগাঁ সদর ও মান্দায় পথসভার আয়োজন করেন দলের নেতাকর্মীরা।
রাজশাহীর এক থানার ওসির বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই প্রশাসনকে সরকার যে তার নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে, তার একটি নমুনা রাজশাহীর একটি থানার ওসির বক্তব্য। ওসি নিজের মুখে বলেছেন, তাকে ভোট করার জন্য এখানে আনা হয়েছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, এটি তার একটি নমুনা। ২০১৮ সালের মতো আবারও রাতের আঁধারে ভোট করে ক্ষমতায় যেতে চায় এই সরকার। কিন্তু এবার আর তা হতে দেওয়া হবে না।’
খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে এই সরকার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। খালেদা জিয়াকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিনাচিকিৎসায় আটকে রেখেছে। তাকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তার কিছু হয়ে গেলে সব দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার প্রমুখ।