হেলমেট বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর মোহনপুরের রায়গাটি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা। হেলমেট বাহিনী স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরঞ্জিত সরকারের চশমা প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ তাকে পথসভা করতেও বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এসব অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরঞ্জিত সরকার। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় এমপি (পবা-মোহনপুর) আয়েন উদ্দিন নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে এরই মধ্যে তিনটি পথসভা করেছেন।’
সুরঞ্জিত সরকার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমার নির্বাচনি প্রচারণাকে বাধাগ্রস্ত করতে ২০-২৫ জন বহিরাগত নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হেলমেট বাহিনী। এই বাহিনী সর্বশেষ গত শুক্রবার বিকালে রায়ঘাটি ইউনিয়নে খিদিরহাটা বদিরমোড় এলাকায় আমার পথসভা ভয়ভীতি দেখিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে। হেলমেট বাহিনী সেখানে মোটরসাইকেলযোগে উপস্থিত হয়ে মাথায় হেলমেট পরে আর হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে উপস্থিত হয়। এর পর আমাকে মারতে তেড়ে গেলে আমি সেখান থেকে সরে গিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেই। তা না হলেও হয়তো তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতো। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আমার কর্মী-সমর্থকদেরও মারধরসহ মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এই অবস্থায় আমার কর্মী-সমর্থকরা চরম আতঙ্কে রয়েছে।’
এসব নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সুরঞ্জিত সরকার। কিন্তু কোনও প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ অবস্থায় আগামী ২৮ নভেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে নৌকার প্রতীক পাওয়া বাবলু হোসেন বিপুল ভোটে পরাজিত হবেন বলে দাবি করেন সুরঞ্জিত সরকার।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সুরঞ্জিতের কর্মী জনাব আলী, আওরঙ্গজেব, আবুল হোসেন, সুম্ভনাথসহ অন্যরা অভিযোগ করেন, নৌকার প্রতীক পাওয়া বাবলু হোসেনের বয়স মাত্র ২৫-২৬ বছর। তিনি কখনও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ বা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তার বাবা খলিলুর রহমানের টাকার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা এবং এমপির সুপারিশে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালের পরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন খলিলুর রহমান। গতবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবার তার ছেলে বাবলু হোসেনকে নৌকা প্রতীক নিয়ে দিয়েছেন টাকার জোরে। এ কারণে দলের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে নেই। এতে ভীত হয়ে সুরুঞ্জিতের কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার মনোনীত প্রার্থী বাবলু হোসেন ফোন রিসিভ করেননি।