X
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

থানার সামনে কলেজছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’, পুলিশের তথ্যে গরমিল!

রাজশাহী প্রতিনিধি
২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:২৪আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:৩৯

 

রাজশাহী রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানা থেকে বের হয়ে কলেজছাত্রী লিজা রহমান শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে ‘আত্মহননের’ বিষয়ে পুলিশের দেওয়া তথ্য-উপাত্তে ‘গরমিল’ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গঠিত তদন্ত কমিটি এই অভিযোগ তুলেছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল মাহমুদ ফাইজুল কবির সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।

ফাইজুল কবির বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কাছে পুলিশের সদস্যরা বলেছেন, লিজা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে শ্বশুর বাড়ির তথ্য নিতে থানা থেকে বের হয়ে শরীরে আগুন দেন। অথচ থানায় পুলিশের করা জিডিতে লিজার শ্বশুর বাড়ির সব কথা রয়েছে। তার মানে এখানে অন্য ঘটনা রয়েছে। পুলিশের দেওয়া তথ্যে এমন আরও ‘গরমিল’ পাওয়া গেছে, যা এখনই বলা যাবে না। আগামী রবিবার (২৭ অক্টোবর) চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি মানবাধিকার কমিশনে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে।’

তথ্যে ‘গরমিল’ দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাস করা হলে রাজশাহী মহানগর মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ‘গণ্যমাধ্যমের মাধ্যমেই বিষয়টি আমরা শুনেছি। এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। পেলে আমরা সে বিষয় সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য জানাবো।’

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর নিহত লিজা রহমানের (১৮) স্বামী সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানার লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের একটি কমিটিও আলাদাভাবে তদন্ত করে। ওই কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, লিজার আত্মহননের ঘটনায় পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না। যদিও গত ১ অক্টোবর প্রথম দফায় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্যের কমিটি নগরীর শাহ মখদুম থানা, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ওই কলেজছাত্রীর স্বামী, স্বজন ও বন্ধুদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। গত ২৪ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় তদন্ত কমিটি আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। সব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে তারা রিপোর্ট তৈরি করেছেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের ঘটনায় নগরীর শাহ মখদুম থানায় অভিযোগ দিতে গেলে লিজাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন ওসি মাসুদ পারভেজ। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে থানার ১০০ গজ দূরে রাজশাহী মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ গেটের সামনে লিজা ‘নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন’ বলে দাবি করা হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ অক্টোবর সকালে তিনি মারা যান।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নসরুল হামিদের ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্টসহ ৭০ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
নসরুল হামিদের ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্টসহ ৭০ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
ভাত খাওয়ার সময় যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
ভাত খাওয়ার সময় যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
তবুও কানাডা সফরে সাবিনা...
তবুও কানাডা সফরে সাবিনা...
ইকুয়েডরে মোরগ লড়াই চলাকালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১২, আটক ৪
ইকুয়েডরে মোরগ লড়াই চলাকালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১২, আটক ৪
সর্বাধিক পঠিত
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩ ভুল
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩ ভুল
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা: নিন্দা জানালো ভারত
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা: নিন্দা জানালো ভারত
প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম
প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম