‘ঋত্বিক ঘটক সম্মাননা পদক-২০১৭’ পেলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং পশ্চিমবঙ্গের তথ্যমন্ত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ব্রাত্য বসু। চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক কুমার ঘটকের ৯২তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী আয়োজিত ‘ঋত্বিক সম্মাননা পদক ও চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৭’-এরসমাপনী দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়া আহসান ও ব্রাত্য বসুর হাতে এই সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়। সম্মাননা পদক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।
ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় সম্মাননা পদক গ্রহণ করতে পারেননি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তার পক্ষে পদক গ্রহণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর সাইদুর রহমান খান।
রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি।
এ বছর ঋত্বিক সম্মাননা পদক পেয়েছেন মোট ছয়জন। অন্য তিন জন হলেন, ভারতের কেরালা রাজ্যের চলচ্চিত্র সমালোচক ভি কে জোসেফ, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ফজলুল হক, শিক্ষাবিদ ও কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক। তারা তিন জনই ঋত্বিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন (শনিবার) সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান। আমার পুরস্কারের সঙ্গে দু’জন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম জড়িত হলো। একজন অবশ্যই ঋত্বিক কুমার ঘটক। অন্যজন হাসান আজিজুল হক, যিনি আমাকে পুরস্কার তুলে দিলেন। আমার আর কিছু বলার ভাষা নেই। তবে এই পুরস্কার আমাকে সামনে আরও ভালো কাজের উৎসাহ দেবে।’
জয়া আহসান বলেন, ‘রাজশাহী আমার কাছে পুণ্যভূমি। তার একটি কারণ ঋত্বিক কুমার ঘটক। অন্য কারণ হাসান আজিজুল হক। তাদের দু’জনের কাজেই দেশভাগের যে যন্ত্রণা, তা ফুটে উঠেছে। আমার বড় আবেগের জায়গা হলো, আমি ঋত্বিক ঘটকের পিতৃভূমিতে দাঁড়িয়ে তার নামের পদক নিয়েছি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী রাষ্ট্রদূত অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন ও চলচ্চিত্রকার প্রেমেন্দ্র মজুমদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর ঋত্বিক কুমার ঘটকের ৯২তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীতে চার দিনব্যাপী ঋত্বিক সম্মাননা পদক ও চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতার ৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখানো হয়।