রাজশাহীতে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে ৫১ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজার একটি চালান জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশেষ অভিযানে চালিয়ে র্যাব-৫ এর একটি দল গাঁজাগুলো জব্দ করে। এসময় ছয়জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। রাজশাহীতে আসা সেই কুরিয়ারে প্রেরক হিসাবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। তবে র্যাব বলছে এটা মাদক কারবারিদের কৌশল।
আটককৃতরা পবা উপজেলার দুয়ারীর আ. কুদ্দুসের ছেলে দুলাল (৩০), তানোরের দেউরাতলা এলাকার ফজর আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২৪), তানোরের সেদায়ের মৃত আফসার আলীর ছেলে বাদশা (৩২), বিবাড়িয়া জেলার কসবার থানার বেলতলি এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মুকতুল হোসেন (৩২), কসবা থানার মাদলা এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে বাপ্পি (৩০) ও তানোরের সিধাইড় এলাকার মেরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহান আলী (২১)।
আটককৃতরা সবাই মাদক কারবারি চক্রের হোতা বলে জানিয়েছে র্যাব। ১৮ টি প্যাকেটে করে গাঁজাগুলো কুমিল্লা থেকে রাজশাহী আনা হয়েছিলো সুন্দরবন কুয়িার সার্ভিসের মাধ্যমে। রাজশাহীর জনৈক মুকতুল হোসেন নামের এক ব্যক্তির ঠিকানায় বিভিন্ন মালামালের সাথে গাঁজাগুলো পাঠানো হয়। প্যাকেটের গায়ে প্রাপকের মোবাইল হিসাবে ০১৯২৭৯৮৫৯৮৮ নম্বরটি লেখা ছিল।
কাঠের খাটের মধ্যে করে বিশেষ কায়দায় গাঁজাগুলো পাঠান হুমায়ন কবির নামের এক ব্যক্তি। যদিও প্রেরক হিসেবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের কথা লেখা হয়েছে। ওই চালানে খাটের সাথে ডাইনিং টেবিল, ছয়টি কাঠের চেয়ারও আছে ।
জানতে চাইলে র্যাব রাজশাহীর মিডিয়া সেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার মেয়রের রেফারেন্স ব্যবহার করেছে মাদক কারবারিরা। তারা এটিকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তারপরেও আমরা বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক জানান, আপনার কাছেই বিষয়টা শুনলাম। কে পাঠিয়েছে সেটা তো বলতে পারবো না। কুরিয়ার সার্ভিস তো আর যাচাই করে না, বুকিংয়ের সময় যে কেউ যে কারও নাম রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
এ ব্যাপারে সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্বারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, এখন পর্যন্ত আসামিদের থানায় হস্তান্তর করেনি।