রংপুর নগরীর ৩৩ নং ওয়ার্ডের বসুনিয়া পাড়ার সালমা বেগমের বয়স ১০০ বছর পেরিয়েছে। স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। ৮ সন্তানের জন্ম দিলেও তারা দেখভাল না করায় অসহায়ভাবে দিন কাটছিল তার। যে ঘরে তিনি থাকতেন সেটি বসবাসের একেবারেই উপযোগী নয়। তারপরও রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কোন রকমে সেখানেই দিন কাটাতেন।
‘উই আর বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃদ্ধার এই করুণ অবস্থা তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। সেই পোস্ট দেখে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার। বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ‘উই আর বাংলাদেশ’ এর আর্থিক সহযোগিতা ও জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে বৃদ্ধা সালমা বেগমকে একটি বাড়ি উপহার দেওয়া হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (এস, এফ) আশরাফুল ইসলাম পলাশের সভাপতিত্বে বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, স্থানীয় কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তবৃন্দ এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে।
বৃদ্ধা সালমা বেগম জানালেন, তার ৮ সন্তানের মধ্যে ৭ জনই খোঁজ-খবর নেন না। তবে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ও অসুস্থ ছেলে এবং তার স্ত্রী যতটা পারেন সাহায্য করেন। বেশির ভাগ দিনই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে তার। শুধু তাই নয় শতবর্ষী এই বৃদ্ধা বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা কিছুই পান না।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম জানান, এর আগে তার ছেলে বয়স্ক ভাতার জন্য আমার কাছে আসলেও তার মা যে বেঁচে আছেন এটাই জানতাম না। এখন থেকে নিয়মিত তার খোঁজ-খবর রাখবো।
পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো সওয়াবের কাজ। সমাজের বিত্তবানদের এ ধরনের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানাই।