কোরবানির ঈদ সন্নিকটে। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, চাপাতি তৈরিতে তাই এই সময় সরগরম থাকে কামারপল্লি। এসব যন্ত্র তৈরির প্রচুর অর্ডার থাকে কামারদের হতে। দম ফেলার ফুসরত থাকে না তাদের। কিন্তু, এ বছর এখনও কাজের চাপ পড়েনি তাদের। পশুর হাট না জমলে এ বছর কামারদের কাজও কমে যাবে বলে অনেক কামার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তারা। অথচ এ বছর এই সময়ে তাদের হাতে কাজ নেই। এই সময়ের আয় দিয়ে তারা আরও কয়েক মাস সংসার খরচ চালান। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
জেলা সদরে কাজ করা কামার কানাই বিশ্বাস, অজিত বৈদ্য, দিলীপ কর্মকার জানান, করোনাকালীন এখনও তাদের কাছে কাজ আসেনি। যে কারণে তারা দুচিন্তায় রয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্তে হয়তো ক্রেতা পাবেন এই আশায় দিন গুনছেন তারা। তাই অল্প অল্প করে কিছু মালামাল তারা তৈরি করে রাখছেন শেষ সময়ের জন্য। করোনার প্রভাবে এ বছর তাদের আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে। আগামী দিনগুলো তাদের কীভাবে চলবে— এই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কামারদের।
বলাই কামার জানান, এ বছর লোহা, কয়লা প্রভৃতির দাম আগের থেকে বেশি হওয়ায় তাদের উৎপাদিত মালামালের দামও বেশি হবে। তারা পশু জবাই করা ছুরি কেজি প্রতি ৫শ' টাকা, দা ৬শ' টাকা, চাপাতি ৪শ' টাকা, কুড়াল ৪শ' টাকা এবং বটি প্রতি কেজি ৫শ' টাকা দরে বিক্রি করছেন।