লক্ষ্মীপুরে জেলেদের জন্য বরাদ্দ সরকারি চাল মজুত ও বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মে) সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউয়িনের ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ২১ মণ চাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, জাটকা সংরক্ষণে মার্চ-এপ্রিল দু’মাস মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ রেখেছিল সরকার। এসময় সরকার জেলেদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করে। বর্তমানে ওই বরাদ্দের অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুরে প্রতি জেলেকে ৮০ কেজি পরিমাণে চাল দেওয়া হচ্ছে। তবে বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়মসহ প্রকৃত জেলেদের না দিয়ে কেউ কেউ অন্যত্র তা বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি চাল বিক্রির অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের স্বজন সোহাগ (ভাগিনা) ও অনুসারী হারুন মাঝির বাড়িতে তল্লাশি চালায় বিক্ষুব্ধ জেলে, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ। পরে সেখান থেকে প্রায় ২১ মণ চাল উদ্ধার হয়। আশপাশের কয়েকজনের কাছেও সরকারি এসব চাল বিক্রি করার তথ্য জানা যায়। প্রতিমণ ১৫০০-১৬০০ টাকা হারে কিনে নেওয়ার কথা জানান অনেকে।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্রপাল ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান। পরে উদ্ধার চাল জব্দসহ অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এসময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ সৈয়ালের ফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ জানান, সরকারি চাল বিক্রির দায়ে দুই জনকে আটক করা হয়েছে, চাল জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের প্রত্যেককে প্রচলিত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, জড়িত কেউ সরকারি কর্মকর্তা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।