করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় পাবনা কমিউনিটি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেডেট হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলার ছয়টিতেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনেরও কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবনা-৫ সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্যবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কোভিড ডেডিকেডেট হাসপাতালের প্রস্তুতি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
গোলাম ফারুক প্রিন্স জানান, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এরই মাঝে সারাদেশে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রচেষ্টা চলছে। পাবনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মাইক্রোবাইলোজি বিভাগে পিসিআর ল্যাব স্থাপন সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে করোনা মোকাবিলায় পাবনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাথেও আমরা কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে পাবনায় পিসিআর ল্যাবে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে।
কোভিড হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে কোভিড হাসপাতালে ১০০ শয্যার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার, নেবুলাইজারসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আইসিইউ, ভেন্টিলেটর স্থাপনে চাহিদাপত্রও দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, পাবনায় গত ২১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ফেরত একজন ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর একজন চিকিৎসক ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ জেলায় মোট ১১ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদের কোনও উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্র হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে।