শেরপুরে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও মজুত প্রতিরোধকল্পে বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের নবীনগর কাঁচাবাজার ও রঘুনাথ বাজার ফলের দোকানগুলোতে পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০১৮ সালের কৃষি বিপণন আইনে দুই ফল ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ রাজীব উল-আহসান। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা বেগম।
তার সঙ্গে ছিলেন মনিটরিং টিমের সদস্য কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব সরকার, ক্যাব শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন। এ সময় শেরপুর পৌরসভার বাজার বিভাগের কর্মকর্তা, এসআই ছামিউলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এবং কালেক্টরেট জিএম শাখার সাপোর্ট স্টাফরা বাজার মনিটরিং টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মনিটরিংকালে আইন লঙ্ঘনের দায়ে রঘুনাথ বাজার এলাকার দুই ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা ছাড়াও বিভিন্ন গরু-খাসি, হাঁস-মুরগির মাংস বিক্রেতা, ভোগ্যপণ্য ও কাঁচাবাজার এবং অন্য ফলমূলের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাজার দর, লাইসেন্স, বিক্রয় মূল্য তালিকা, ক্রয় রশিদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মজুত পরিস্থিতিও যাচাই করা হয়। একদিনের ব্যবধানে ফলমূল, লেবু, শসা, বেগুনের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে এবং যৌক্তিক লাভ বিবেচনায় সহনীয় মূল্যে দ্রব্যমূল্য বিক্রির নির্দেশনা দেন।
জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ রাজীব উল-আহসান জানান, নিত্যপণ্য এবং রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের ভেগ্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পুরো রোজার মাসজুড়ে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং অভিযান চলবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।