X
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
১৫ বৈশাখ ১৪৩২

ভোট চলাকালে গুলিতে দুজন নিহত: সাবেক এসপি ও মেয়র খালাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
১২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১০আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১০

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২০০৪ সালে পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে গুলিতে দুজন নিহত হওয়ার মামলায় সাবেক আলোচিত পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভূঁইয়া উজ্জ্বলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মঙ্গলবার বিকালে ময়মনসিংহ জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক সাবরিনা আলী তাদের খালাস দেন।

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর ছয় মাস তিন দিন পর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও পৌর মেয়র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে খালাস দেন।’

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৫ মে নান্দাইলের আচারগাঁও হাই স্কুল কেন্দ্রে পৌর নির্বাচনের ভোট চলছিল। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে সুজন ও আবু তাহের নামের দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নান্দাইল থানায় মামলা করে। মামলাটি কয়েক দফা তদন্ত করলেও আসামি শনাক্ত না হওয়ায় প্রথমে ওই বছরের ৩১ আগস্ট, দ্বিতীয়বার ১৯ ডিসেম্বর ও সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

নান্দাইল পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া তখন নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে দিয়েও হেরে যান। এরপর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর নান্দাইলের সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী, সাবেক পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া, পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভূঁইয়াসহ ছয় জনের নামে ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ আদালতে পুনরায় মামলা করেন রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া। আদালতের নির্দেশে নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন মামলা পুনরায় তদন্ত করে প্রমাণ না পাওয়ায় ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দেন। ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর নিহত সুজনের বাবা ও তাহেরের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরেরই ২৭ সেপ্টেম্বর আদালত চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেন। তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া নারাজি দিয়ে পরের বছরের ১৮ মার্চ জেলা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন। পরে জেলা জজ আদালতের বিচারক মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ইসমাইল হোসেন ২০১১ সালের ৩ জুলাই এসপি কোহিনুর মিয়া ও নান্দাইল পৌরসভার মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভূঁইয়ার নামে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ ২০ বছর ছয় মাস তিন দিন চলাকালে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও পৌর মেয়র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ এইচ এম খালেকুজ্জামান, আতাউর রহমান মুকুল ও এমএ হানান্ন খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আনোয়ার আজিজ টুটুল।

নান্দাইলের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া রায় শুনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর পর আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পেয়েছি।’ অপর আসামি এসপি কোহিনুর মিয়া পলাতক রয়েছেন।

/এএম/
সম্পর্কিত
বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু, এসএসটিএএফ’র উদ্বেগ
বিচারকাজে বিড়ম্বনা, সময় ও খরচ কমানোই প্রধান লক্ষ্য: আইন উপদেষ্টা
চকবাজারে স্টোভের আগুনে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
রাজস্ব নীতিতে অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়নের অভিযোগ কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের
রাজস্ব নীতিতে অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়নের অভিযোগ কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের
পুলিশ সপ্তাহ শুরু আজ
পুলিশ সপ্তাহ শুরু আজ
দেশের সব পলিটেকনিকে শাটডাউন ঘোষণা
দেশের সব পলিটেকনিকে শাটডাউন ঘোষণা
মোহাম্মদপুরে সেই ব্যবসায়ীর বাসায় আবার গুলি
মোহাম্মদপুরে সেই ব্যবসায়ীর বাসায় আবার গুলি
সর্বাধিক পঠিত
‘আমার স্বামীর কোনও দোষ নাই, শুধু আ.লীগ করে বলে মাইরা ফেলাইছে’
‘আমার স্বামীর কোনও দোষ নাই, শুধু আ.লীগ করে বলে মাইরা ফেলাইছে’
ইউআইইউ বন্ধ ঘোষণা
ইউআইইউ বন্ধ ঘোষণা
প্রশাসনে অস্থিরতা কাটছেই না, বাড়ছে ক্ষোভ-অসন্তোষ
প্রশাসনে অস্থিরতা কাটছেই না, বাড়ছে ক্ষোভ-অসন্তোষ
মানবিক করিডোরের জন্য যেসব শর্ত দিয়েছে সরকার
মানবিক করিডোরের জন্য যেসব শর্ত দিয়েছে সরকার
ধর্ষণের অভিযোগে ইমামকে গণপিটুনি, কারাগারে মৃত্যু
ধর্ষণের অভিযোগে ইমামকে গণপিটুনি, কারাগারে মৃত্যু