কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের তিন উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলায় এক নারীর মরদেহের সঙ্গে ভেসে এসেছে তার শিশুসন্তান। তবে মায়ের পরিচয় জানাতে পারেনি শিশুটি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাঘবেড়েতে মায়ের মরদেহের সঙ্গে ভেসে আসে শিশুটি। এদিন সকাল থেকে পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের চারটি নদীর পানি বাড়তে থাকে। যা পরে বন্যার সৃষ্টি করে। অনেকেই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার অনেক মানুষ এখনও নিরাপদ স্থানে যেতে পারেনি।
বন্যায় নালিতাবাড়ীতে এখন পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন হলেন নয়াবিল ইউনিয়নের খলিশাকুড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী নামের এক বৃদ্ধ। অপর তিন জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা একজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকি তিন জনের কোনও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। লাশ উদ্ধারের কাজ চলছে।’
জানা গেছে, ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে ও উপচে উপজেলা সদর বাজার, বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে, নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘জেলার তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’