গরু চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা ও পেরী গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম (৬০), সোহেল (২৭), পিপুল (২৩), রাইসুল ইসলাম (৩৫), হৃদয় (২৩) নামে পাঁচ জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আহতরা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় হাদিস মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি পেরী গ্রামের বাসিন্দা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে পেরী গ্রামের হাদিস মিয়ার বাড়ির আশপাশে বেশকিছু গরু বাঁধা থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। পরে সেখান থেকে দুটি গরু নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী চেংজানা গ্রামের লোকেরা। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জেরে রবিবার দুপুরে উভয় গ্রামের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেই পুলিশ ছুটে যায়। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গরুগুলো ছুরি করে আনা। আর তা নিয়েই দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।