শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মাথাব্যথার ওষুধ দিতে গিয়ে জ্বর মাপা ও পরীক্ষা করার নামে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অংশে হাত দেওয়া ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রেজাউল করিম (৪৫) নামে এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া।
সূত্র জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম সমশ্চুড়া উচ্চবিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক রেজাউল করিম শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি সমশ্চুড়া বাজারে ফার্মেসির ব্যবসা করেন। তার বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মাথাব্যথার ওষুধের জন্য বুধবার (১০ জুলাই) সকালে ফার্মেসিতে যায়। এ সময় ফার্মেসি বন্ধ থাকায় বাজারসংলগ্ন রেজাউল করিমের বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে রেজাউল ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে তার ফার্মেসিতে প্রবেশ করে জ্বর মাপার জন্য শিক্ষার্থীর বগল তলে থার্মোমিটার দেন। এ সময় ওই কিশোরী মাথাব্যথার কারণ জানালেও জ্বর আছে কিনা দেখতে হবে বলে রেজাউল তার শরীরের আরও স্পর্শকাতর অংশে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই কিশোরী চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দেন। কিশোরী বাড়িতে এসে তার মাকে জানানোর পর এই ঘটনা প্রকাশ পায়।
পরে ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যরা বিষয়টি নিয়ে বসার আহ্বান জানালেও অভিযুক্ত রেজাউল করিম তা এড়িয়ে যান। ফলে বিকালে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/ ২০২০) এর ৯ (৪) ধারায় মামলা করেন। পরে বুধবার রাতেই রেজাউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া জানান, ভুক্তভোগীর মায়ের করা মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।