ময়মনসিংহ সদরের মনতলা ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া লাগেজবন্দি চার খণ্ড লাশটি ঢাকার গুলশানের বেসরকারি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভের (২৩)। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে।
তবে নিহত সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরায় বসবাস করতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মাইজবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন।
এর আগে রবিবার (২ জুন) সকালে ময়মনসিংহ সদরের সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রিজের নিচে সুতিয়া নদী থেকে এক অজ্ঞাত তরুণের চার টুকরো করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুতিয়া নদী থেকে কালো রঙের একটি ট্রলিব্যাগ থেকে তিন টুকরো এবং পাশেই একটি বাজারের ব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মাথা উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে সৌরভের এক মামা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় এসে জানান এটি তার ভাগিনার লাশ। তার তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয় বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন। পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে পর জানাবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, খুন হওয়া তরুণের নাম সৌরভ। সে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের বাসিন্দা এবং ডাক বিভাগের কর্মচারী ইউসুফের ছেলে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন বলেন, সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তাদের কেউ গ্রামে থাকে না। এর মধ্যে সৌরভের বাবা ঢাকায় এবং ইলিয়াস নামে এক চাচা ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করে বলে জেনেছি। তবে কেন বা কী কারণে ছেলেটা খুন হয়েছে তা এলাকার কেউ জানেন না। খুনের ঘটনাটি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে।
তবে পরিকল্পিতভাবে এই তরুণকে খুন করে লাশ চার খণ্ড করে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন।