X
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২

মামলা করে কী করমু, বিচার পামু না: ঢাকায় সমাবেশে নিহত রেজাউলের বাবা

আতাউর রহমান জুয়েল, ময়মনসিংহ
০১ আগস্ট ২০২৩, ১৯:২৩আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৩২

‘আমরা গরিব মানুষ, মামলা করে কী করমু, বিচার পামু না। যে যাবার সে আমাগো অসহায় করে ছেড়ে চলে গেছে। মামলা করলে তো আর পোলারে ফিরে পামু না। মামলা করলে আদালতে আদালতে ঘুরতে হবে, কারি কারি টাকা খরচ হবে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলছিলেন শুক্রবার ঢাকার গোলাপ শাহ মাজারের সামনে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত মাদ্রাসাছাত্র রেজাউল করিমের বাবা আব্দুস সাত্তার।

শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল।

রেজাউল কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না জানিয়ে সাত্তার বলেন, ‘আমার পোলাসহ পরিবারের কেউ কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আমরা কৃষক মানুষ। সারাদিন কাজ করি সন্ধ্যার পরে বাড়ি ফিরে আসি। পোলারে পাঠাইছিলাম লেখাপড়া করে বড় আলেম হবে। কিন্তু এভাবে জীবন দিতে হবে এটা ভাবতেও পারিনি।’

রেজাউলের মা রেনু বেগম বলেন, ‘কোরবানির ঈদের পর রেজাউল বিদায় নিয়ে ঢাকায় মাদ্রাসায় চলে গেল। আর ফিরে আসলো লাশ হয়ে।’

নিহত রেজাউল করিম

তিনি বলেন, ‘মামলা করে লাভ কী? দুনিয়ার আদালতে আমার ছেলের বিচার পাওয়া যাবে না। এর চাইতে আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তারা যেন শাস্তি পায়।’ 

আরও পড়ুন: মাটিতে শুয়ে কাঁদছেন রেজাউলের মা, বলেছেন ‘আমার ছেলে রাজনীতি করতো না’

রেজাউল করিমের চাচা মতলেব আলী বলেন, ‘আমার ভাই খুব সহজ-সরল মানুষ। কৃষির উপরে নির্ভরশীল সংসার। খুব কষ্ট করে ছেলে রেজাউল করিমকে বড় আলেম বানাবে বলে লেখাপড়া করাতে ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন। মামলা করলে থানা আর আদালতে আদালতে ঘুরতে হবে। এসব টাকা জোগানোর মতো সাধ্য নেই। তাই মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।’

নকলা থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান, নিহত রেজাউলের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করার জন্য থানায় আসেনি। তবে মামলা করলে ঘটনাস্থল ঢাকায় গিয়ে করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই বিকালে শান্তি সমাবেশে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে দুপক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে নিহত হন রেজাউল। ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার (৩০ জুলাই) নকলার গ্রামের বাড়িতে রেজাউলের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

/আরআর/
সম্পর্কিত
দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী নিহত: বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো মুক্তিযোদ্ধার
১ মে নয়া পল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি
সর্বশেষ খবর
রাষ্ট্র বিনির্মাণে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে ফ্যাসিবাদী শাসন হয়েছিল: আলী রীয়াজ 
রাষ্ট্র বিনির্মাণে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে ফ্যাসিবাদী শাসন হয়েছিল: আলী রীয়াজ 
যুক্তরাষ্ট্রের মঞ্চে গাইবেন মৌসুমী
যুক্তরাষ্ট্রের মঞ্চে গাইবেন মৌসুমী
রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিয়েভে ৯ জন নিহত
রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিয়েভে ৯ জন নিহত
কাশ্মীরে হামলা: অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক সেনা নিহত
কাশ্মীরে হামলা: অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক সেনা নিহত
সর্বাধিক পঠিত
জোর করে পদত্যাগ করানো প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হলো
জোর করে পদত্যাগ করানো প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হলো
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন
কাশ্মীর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
কাশ্মীর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
কালচে বগলের সমস্যা যেভাবে দূর করবেন
কালচে বগলের সমস্যা যেভাবে দূর করবেন
‘ছাত্ররা শিক্ষকদের মর্যাদা দেয়নি, দোষ থাকলে ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক’
‘ছাত্ররা শিক্ষকদের মর্যাদা দেয়নি, দোষ থাকলে ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক’