খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে বুধবার নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বুধবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। পাশাপাশি ভিসির পদত্যাগের দাবির বিপক্ষে মৌন মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উপাচার্য পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শিক্ষার্থীরা বুধবার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ সেন্টারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এদিকে দুপুরে তালা ভেঙে প্রবেশ করার পর মঙ্গলবার রাতে হলে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করেন, কুয়েট প্রশাসন হলের ইন্টারনেট ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
বুধবার বেলা পৌনে ১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিছিলটি শুরু হয়। দুর্বার বাংলার পাদদেশে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। এ সময় শিক্ষক-কমকর্তারা কুয়েট উপাচার্যকে শিক্ষার্থীরা হয়রানি করছে দাবি করেন এবং এর প্রতিবাদ জানান।
অমর একুশে হলের শিক্ষার্থী তৌফিক বলেন, ‘আমরা হলে উঠলেও খাবার পানির সংকট রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ। দুই মাস আগের ট্যাংকির পানি ব্যবহার অনুপযোগী। হলের কর্মচারীদের এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সমস্যাগুলো হল প্রভোস্টকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের কারণে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম দুই মাস বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে চার-পাঁচ মাস শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। এতে করে শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
কুয়েট ছাত্রকল্যাণ দফতরের ডেপুটি পরিচালক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস আগে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। ওই সময় হলের ইন্টারনেট সংযোগ এবং পানির লাইন যেভাবে ছিল সেভাবে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন কিংবা পানির লাইন বন্ধ করে নাই। শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি সত্য নয়।’