চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠ এলাকায় কুপিয়ে জখমের দুদিন পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিপুন সাহা (২৫) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নিপুন সাহা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাজার পাড়ার কৃষ্ণ সাহার ছেলে ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি পেশায় তরমুজ বিক্রেতা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ এপ্রিল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজারে কেনা তরমুজ লাল না হওয়ায় বিক্রেতার সঙ্গে একজন ক্রেতার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই দিন রাত ১০টার দিকে একদল কিশোর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরমুজ বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম ও তার বন্ধু বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি রুবেল হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত আমিনুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রুবেল হোসেনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। আহতরা হামলাকারীদের মুখে চিনলেও নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি। ওই ঘটনার সময় তরমুজ বিক্রেতাদের পক্ষে অবস্থান নেন নিপুন সাহা।
ওই ঘটনার পরদিন শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ২০-২৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিপুন সাহাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক ওই রাতেই রাজশাহী হাসপাতালে পাঠান।
নিপুন সাহার মা কাজল রানী জানান, ঘটনার রাতে পৌরসভা পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে রাস্তায় বের হয়ে ২০-২৫ জন দুর্বৃত্তকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখেন। এ সময় চিৎকার দিলে নিপুন সাহা ঘর থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা তাকে ধাওয়া করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার দিন নিপুন সাহার পরিবারকে মামলা করার কথা বলা হলেও করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়েছিল চিকিৎসা শেষে ফিরে এসে মামলা করবে। দুটি ঘটনায় অভিযুক্ত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’