গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন কুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার দুমাস পর মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে এই আবেদন করেন। আদালত খানজাহান আলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার আবেদনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
মামলার আবেদনে নাম দেওয়া হয়েছে- কুয়েট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক (২২), ইসিই ডিপার্টমেন্টের জাহিদুর (২৩), ট্রিপল ই ডিপার্টমেন্টের ওবাইদুল্লাহ (২৩), টি ই, ডিপার্টমেন্টের মোহন (২৩), ট্রিপল ই ডিপার্টমেন্টের গালিব রাহাত (২৩), ট্রিপল ই ডিপার্টমেন্টের সাদাত তানভীর মাহিন (২৩), ট্রিপল ই ডিপার্টমেন্ট, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট রায়হান শরিকুল (২৩), ট্রিপল ই ডিপার্টমেন্টের শেখ মুজাহিদ (২৩), ট্রিপল ই ডিপার্টমেন্ট, আইইএম, ডিপার্টমেন্টের সাজ্জাদ ফরহাদ (২৩), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের হিমেল (২৩), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শোভন (২৩), ইসিই ডিপার্টমেন্টের ইছা আনছারী (২০), সিএইচই ডিপার্টমেন্টের আবু হাসান খালিদ (২৩), এলই ডিপার্টমেন্টের ইয়াছিন রোওয়ান (২০), এমই ডিপার্টমেন্টের ফজলে রাব্বি, কুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম নায়েল, এমই ডিপার্টমেন্টের সাফতি আনছারী (২৩), কুয়েট শিক্ষার্থী আব্দুর রাহিম মৃধা (২০), এমই ডিপার্টমেন্টের আজমাইন ইসরাক অর্ণব (২০), ট্রিপল ই ডিপার্টমেন্টের মুজাহিদ (১৯), ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের মাহাদি হাসান (২৫), কুয়েট শিক্ষার্থী অভি (২৩) ও অজ্ঞাত ১৫/২০ জন।
কুয়েটের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শেখ শরিফুল আলম বলেন, ‘মামলার বিষয়ে কিছু জানতাম না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’
এদিকে ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সম্পর্কে কুয়েট-১৯ নামে ফেসবুক পেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এক প্রতিক্রিয়ায় উল্লেখ করা হয়, যৌক্তিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা প্রশাসন ও তদন্ত কমিটির যোগসাজশেই কি এই প্রহসন? তা না হলে শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় কীভাবে তারা জানবে? আমরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়েরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘এ মামলা বা আদালতের নির্দেশসংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র আমাদের কাছে এখনও আসেনি।’