মেহেরপুর সদর উপজেলায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ও ভ্যানে থাকা এক শিশু নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন প্রাইভেটকার ও ভ্যানচালক। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে শহরের মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের হাসান মোল্লার ছেলে আক্তারুজ্জামান শোভন (২৬) ও তার বন্ধু বাড়িবাঁকা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে আল ইমরান (২৫) ও গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের ভ্যানচালক আলী হাসানের ছেলে জুবায়ের হাসান (১০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জুবায়ের হাসানের বাবা ভ্যানচালক আলী হাসান ও প্রাইভেটকারচালক পলাশ হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেটকার চালিয়ে পলাশ হোসেন বেপরোয়া গতিতে সদরের আমঝুপি এলাকা থেকে মেহেরপুর শহরে আসছিলেন। আলী হাসান ভ্যানে তার শিশুসন্তানকে নিয়ে আমঝুপির দিকে যাচ্ছিলেন। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কার্যালয়ের সামনে প্রাইভেটকারটি ভ্যান ও একটি মোটরাসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যান থেকে আলী হাসান, জুবায়ের ও মোটরাসাইকেল থেকে শোভন এবং আল ইমরান ছিটকে পড়ে আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে শোভনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আল ইমরান ও জুবায়েরকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। রাজশাহীতে নেওয়ার পথে সন্ধ্যার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুবায়ের ও কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আল ইমরান মারা যান। ভ্যানচালক আলী হাসান মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত প্রাইভেটকারচালক পলাশ স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শোভনের স্বজনরা জানিয়েছেন, অগ্রণী ব্যাংকে অফিসার পদে সদ্য সুপারিশকৃত হয়েছিলেন শোভন। ঈদের ছুটি শেষে নতুন চাকরিতে যোগদানের কথা ছিল তার। এখন তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও ভ্যানটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’