একদিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড চত্বরে আবারও বোমাসদৃশ বস্তু দেখা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে রাখে। শনিবার এলাকায় কালো টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে কে বা কারা কেরুজ এলাকায় কালো রঙের টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তুটি (কৌটা) ফেলে রেখে যায়। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা ও সেনাবাহিনীর চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা, ও দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বোমাসদৃশ বস্তুটি নিষ্ক্রিয় করতে রাজশাহীর র্যাব-৫-এর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। ওই ইউনিট পৌঁছানোর আগপর্যন্ত পুলিশ সতর্ক পাহারায় আছে।
পুলিশ বলছে, বোমাসদৃশ বস্তুটি আসলে বোমা নয়। তবে ককটেল হতে পারে। আগে একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছিল। সেটির সঙ্গে কৌটা মিল আছে।
দর্শনা থানা পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার কেরু চত্বরে লাল টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ কৌটা পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে র্যাব-৫-এর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট দর্শনায় এসে তা নিষ্ক্রিয় করেছিল।
সকালে বোমাসদৃশ বস্তুটি প্রথমে দেখেন কেরু কলোনির বাসিন্দা মো. স্বপন। তিনি বলেন, ‘ছাগল চরাতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে কালো টেপ মোড়ানো বোমার মতো একটা কিছু দেখতে পাই। একদিন আগেও একই রকম ককটেল পাওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে কেরুর গার্ডদের জানালে পুলিশকে খবর দেন তারা।’
সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার কেরু চত্বরে পড়ে থাকা বোমাসদৃশ বস্তুটি ছিল ককটেল। আজ প্রায় কাছাকাছি স্থানে পড়ে থাকা কালো টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তুটিও ককটেল বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, ‘আবারও একই ধরনের টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। এটাও ককটেল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ আগের পাওয়া ককটেলের সঙ্গে এটির মিল আছে। তবে আগেরটা লাল টেপ মোড়ানো ছিল, আজকেরটা কালো টেপ মোড়ানো। রাজশাহীর র্যাব-৫-এর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে এটি নিষ্ক্রিয় করা হবে।’