কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে চালের দাম বাড়ার কারণ বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজি, এমনটাই অভিযোগ দলের একাংশের নেতাদের। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা এ অভিযোগ করেন। তবে জেলা বিএনপি চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির আয়োজনে কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এ কর্মসূচি চলাকালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবমূল্যায়নের শিকার ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা শিল্পকলা একাডেমি সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এ সময় সমাবেশে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমুল হাসান বলেন, ‘দলের নিবেদিতপ্রাণ ও আওয়ামী দুঃশাসনের হামলা–মামলা নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির নেতাদের চাঁদাবাজির কারণে আজ কুষ্টিয়ার মোকামে চালের দাম বেড়ে গেছে।’
জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি গোলাম কবির বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিএনপির কমিটিতে ঢুকিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এই কমিটি মানি না।’
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, ‘এই কমিটি বাতিল না হলে আগামী দিনে বিক্ষোভ করা হবে। বিক্ষোভ, হরতালসহ কুষ্টিয়াবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া অচল করে দেওয়া হবে।
চাঁদাবাজির কারণে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘আমি কর্মশালায় আছি। তারা যে বক্তব্য দিয়েছে, তা অমূলক ও কল্পনাপ্রসূত। এসব কথার কোনও সারমর্ম নেই।’
গত ৪ নভেম্বর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন–সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বাতিল করা হয়। ২০১৯ সালের ৮ মে সৈয়দ মেহেদী আহমেদকে সভাপতি ও সোহরাব উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রেখে জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে ২০১২ সালে গঠিত কমিটিতে এই দুজন একই পদে ছিলেন।