বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে শীতের মধ্যেও উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে শীতের প্রকোপও বেড়েছে জেলাজুড়ে। বৃষ্টির সঙ্গে শীত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও বোরো চাষিরা।
বাগেরহাট শহরের রিকশাচালক লিপন খান বলেন, সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তবুও পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা বেশি, তাই রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যাও কম। সকাল থেকে যা ইনকাম করেছি, তা দিয়ে বাজার খরচ হবে না।
বাগেরহাট প্রধান বাজারের সবজি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতার সংখ্যা কম, তাই বেচাকেনা একদমই হচ্ছে না।
বোরো চাষি মাসুদুর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে ধানের বীজতলার কিছুটা উপকার হচ্ছে। তবে ধান রোপনের জমি প্রস্তুত কাজ ব্যহত হচ্ছে। শীতে শ্রমিকরা মাঠে নামতে পারছে না। এছাড়া অনেক এলাকায় মাঠে আমন ধান রয়েছে, তাদের সমস্যা হবে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার বলেন, বেশিরভাগ কৃষকই তাদের ধান ঘরে তুলে নিয়েছে। এখনও মাঠে অল্প কিছু কৃষকের ধান রয়েছে। সকাল থেকে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বড় ধরনের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। সামনে বোরো ধানের মৌসুম। কৃষকরা বীজতলা প্রস্তুত করছেন। বৃষ্টি হলে বোরোর বীজতলা ভালো হবে। শীতকালীন সবজি চাষেও এর কোনও প্রভাব পড়বে না।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাটে ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। রোদ না ওঠায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।