বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় খুলনা শহর। এমন সব ছবি নিয়ে শেষ হলো তিন দিনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। যেখানে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা ও জলাবদ্ধতার কারণ সংবলিত ছবি স্থান পায়। এসব ছবি দেখে হতবাক হয়েছেন নগরবাসী। সেইসঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দফতরের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় হাবুডুবু খেয়ে স্কুলে যাই আমরা। কিন্তু বছরের পর বছরেও জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি। সমস্ত শহরের চিত্র কখনও দেখার সুযোগ হয়নি। আজ একসঙ্গে নগরীর জলাবদ্ধতা দেখে হতাশা বেড়ে গেলো আমাদের। এত দিনেও সমস্যা সমাধান না হওয়ায় আমরা হতবাক।’
৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডটিতে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি নেই। পুরো ওয়ার্ডজুড়ে রয়েছেন বাইরের লোকজন। যা দিনকে দিন বাড়ছে। আবর্জনার স্তূপ পড়ে ড্রেন ও খালে। এতে খাল ভরাট হওয়ায় পানি নামতে পারে না। ফলে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে থাকতে হয়।’
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেছেন, সবার সহযোগিতায় জলাবদ্ধমুক্ত নগরী গড়া সম্ভব। আমাদের শহরটাকে পরিচ্ছন্ন করতে নিজেদের সচেতন হতে হবে। প্রাকৃতিক জলাধারগুলো যাতে ভরাট না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। বাড়ির ময়লা যেন রাস্তা বা ড্রেনে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ূর নদের সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলো খনন করতে হবে। এতে খুলনার জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান ও এশিয়া রেজিলেন্ট সিটির প্রকল্প প্রধান ফারহানা আফরোজ।