মেহেরপুর আদালতের একটি নারী নির্যাতন মামলার তদন্ত চলাকালে লাঞ্ছিত হয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হোসনে মোবারক। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় সোমবার রাতেই তিনি বাদী হয়ে গাংনী থানায় আট জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
গাংনী থানার ওসি বনি ইসরাইল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।
হোসনে মোবারক জানান, মেহেরপুর মোকাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিটিশন মামলা নং ১০৮/২০২৪ তদন্তের জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে মামলাটির শুনানির জন্য বাদী বিবাদীকে হাজির হতে বলা হয়। মামলাটির তদন্ত চলাকালে শিক্ষা অফিসের বাইরে বাদী ও বিবাদী পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে কয়েকজন যুবক তার প্রতি রাগান্বিত হয়ে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় ও লাঞ্ছিত করে। এ সময় অফিস সহকারী তোফাজ্জেন হোসেনকেও লাঞ্ছিত করে যুবকরা। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেহেরপুর সেনাবাহিনীকে জানান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। এর আগেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা ঘটনাস্থলে আসেন ও বিস্তারিত শোনেন। তিনি জানান, বিস্তারিত ঘটনাটি শুনেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও ঘটনার তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।