ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে সেদেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসছেন। তার নিরাপত্তায় রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেনাপোল-পেট্রোপল বন্দরে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রেখেছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
একই নিরাপত্তার কথা জানিয়ে গতকাল শনিবার ও আজ রবিবার আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকায় বন্দর এলাকায় ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আশা শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানিয়েছে, দুপুর ২টার পর যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিরাপত্তাজনিত কারক দেখিয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছিল ভারতীয় ইমিগ্রেশন। পাসপোর্টধারীরা বন্দরে অবস্থান করছে। দুপুর ২টার পর আশা করা যাচ্ছে আবারও যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক হবে।’
ভারতগামী যাত্রী অনিমেষ চক্রবর্তী বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য পরিবার নিয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য এখানে এসে জানতে পারি, ২টার আগে ভারতে যাওয়া যাবে না। পেট্রাপোল বন্দরে আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধনের পর তারা যাত্রী নেবে বলে জানতে পেরেছি।’
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, গত শুক্রবার সরকারি ছুটিতে তিন দিন ধরে এ পথে বাণিজ্য বন্ধ। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দুদিন বাণিজ্য বন্ধ ও পাঁচ ঘণ্টা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। তবে বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।