দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজ এলাকায় গিয়ে সমাবেশ করলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব। জামিনে মুক্তির পর নিজ নির্বাচনি এলাকা যশোরের বাঘারপাড়ায় শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে দলের নেতাকর্মীরা তাকে গণসংবর্ধনা দেন।
গত ২৩ এপ্রিল একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠান। গত ২৭ আগস্ট জামিন মঞ্জুর হলে ৩০ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান টিএস আইয়ুব। শুধু বাঘারপাড়ায় নয়, অভয়নগর উপজেলা ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন থেকেও নেতাকর্মীররা তাকে সংবর্ধনা দেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী সব আন্দোলনে সরব ছিলেন টিএস আইয়ুব। বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে রাজপথে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৪৩টি মামলা করা হয়। কখনও কারাগার আবার কখনও মামলার হাজিরা এবং নিরাপত্তার অভাবে নিজ এলাকায় যেতে পারেননি।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থল বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে এসে পৌঁছান টিএস আইয়ুব। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক সম্পদ হারিয়েছি। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা আমার অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। অতীতে সংকটে, ক্রান্তিলগ্নে আপনারা পাশে ছিলেন। আমিও আপনাদের পাশে ছিলাম। আগামীতেও একসঙ্গে এগিয়ে যাবো। যেকোনও সংকটে একসঙ্গে লড়বো। সংকটকালে যারা বিএনপি ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তারা এখন দলে এসে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিতে চায়। তারা অপকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তবে তাদের দলে জায়গা হবে না।’
বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই মনা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মশিয়ার রহমান ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে নৌকার প্রার্থী বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রনজিত কুমার রায়ের কাছে হেরে যান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রনজিত কুমার রায়ের কাছে হেরেছেন।