X
সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪
১৭ আষাঢ় ১৪৩১

খুলনায় চাহিদার চেয়ে ৫ লাখ পশু বেশি, চামড়া পাচাররোধে কঠোর নজরদারি

হেদায়েৎ হোসেন, খুলনা
১১ জুন ২০২৪, ০৮:০১আপডেট : ১১ জুন ২০২৪, ০৮:০১

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে খুলনায় কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খামারিরা। এ বছর বিভাগের দশ জেলায় কোরবানি উপযোগী পশুর চাহিদার চেয়ে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৮৮৫টি বেশি আছে। ফলে সংকট হবে না। উদ্বৃত্তগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদার জোগান দেবে। পাশাপাশি এবার কোরবানির পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেজন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।

খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে খামারগুলো থেকে অধিকাংশ কোরবানির পশু বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকে আগেভাগে অগ্রিম টাকা দিয়ে গেছেন। গোখাদ্যের দামসহ লালন-পালন ব্যয় বেশি হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় বেশি দামে পশু বিক্রি করছেন তারা। যেসব পশু আছে, সেগুলো বাজারে তুলছেন।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর খুলনা বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১টি পশু। এ বছর বিভাগের ১০ জেলায় চাহিদা রয়েছে ১১ লাখ ছয় হাজার ৫৩২টির। মজুত আছে ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৪১৭টি। উদ্বৃত্ত থাকবে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৮৮৫টি। বিভাগে খামারির সংখ্যা এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে খুলনায় ১০ হাজার ৫৫২, বাগেরহাটে আট হাজার ৩২০, সাতক্ষীরায় ১২ হাজার ৮৮৯, যশোরে ১৪ হাজার ১৩৫, ঝিনাইদহে ২৩ হাজার ১২৬, মাগুরায় পাঁচ হাজার ৮৩৬, নড়াইলে চার হাজার ৪৭৮, কুষ্টিয়ায় ১৮ হাজার ১৯৩, চুয়াডাঙ্গায় ১০ হাজার ৯২৭ জন ও মেহেরপুরে ২৯ হাজার ৬০৮ জন।

জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত বছরগুলোতে বিভাগে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর সংখ্যা কম থাকলেও এ বছর চাহিদার চেয়ে বেশি আছে। খুলনায় ৪১ হাজার ২৭৬টি ষাড়, ১১ হাজার ৯৬৩টি বলদ, ১৩ হাজার ৭১৮টি গাভিসহ ৬৬ হাজার ৯৫৭টি গরু মজুত আছে। পাশাপাশি ৯৭টি মহিষ, ৭৮ হাজার ৩৬৪টি ছাগল ও ১৪ হাজার ৮৩৪টি ভেড়াও রয়েছে। এবার চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৩টির। কোরবানি দেওয়ার পরও ২১ হাজার ৮৩৫টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

এ বছর বিভাগের দশ জেলায় কোরবানি উপযোগী পশুর চাহিদার চেয়ে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৮৮৫টি বেশি আছে

পাইকগাছার সোলাদানা এলাকার আমিনুর সরদার বলেন, ‘আমার ২০ লাখ টাকার মুরগি, গরু-ছাগল ও চিংড়ি মাছ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে সেগুলো আক্রান্ত হয়েছিল। তবে গরু-ছাগলগুলো এবার ভালো দামে বিক্রি করছি।’

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার খামারিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিছু পশু আক্রান্ত হয়েছে। আবার কিছু মারাও গেছে। তবে তা কোরবানিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কারণ চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুত আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খামারিরা যাতে পছন্দ অনুযায়ী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারেন এবং জোর করে কেউ পথে পশু নামাতে না পারে, সেজন্য খামারিরা চাইলে পুলিশ ও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার বড় সংকট হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার বিভাগের যেকোনও জেলা থেকে চামড়া পাচার রোধে নজরদারি বাড়ানোসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পুলিশ।’

/এএম/
সম্পর্কিত
এবার ঈদেও কেন কমলো না সড়ক দুর্ঘটনা?
আলোচিত সেই ছাগল এখন কোথায়?
সড়কে চামড়ার স্তূপ, ‘নাক চেপে’ পার হচ্ছেন পথচারীরা
সর্বশেষ খবর
বিকাশে সহজেই দেওয়া যাবে ঢাকার সব ইউনিয়নের হোল্ডিং ট্যাক্স
বিকাশে সহজেই দেওয়া যাবে ঢাকার সব ইউনিয়নের হোল্ডিং ট্যাক্স
টিভিতে আজকের খেলা (১ জুলাই, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১ জুলাই, ২০২৪)
জর্জিয়াকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন
জর্জিয়াকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন
দেশে ‘জ্বালানি সুবিচারের’ দাবিতে ক্যাবের নাগরিক সংলাপ
দেশে ‘জ্বালানি সুবিচারের’ দাবিতে ক্যাবের নাগরিক সংলাপ
সর্বাধিক পঠিত
রাষ্ট্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের
রাষ্ট্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের
গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ফিজিওথেরাপিস্ট গ্রেফতার
গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ফিজিওথেরাপিস্ট গ্রেফতার
নরসিংদীতে সাপের কামড়ে ১৪ জন হাসপাতালে
নরসিংদীতে সাপের কামড়ে ১৪ জন হাসপাতালে
এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে কোথায় যাবেন?
এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে কোথায় যাবেন?
নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস
নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস